বিনোদন

‘বন্দিশ ব্যান্ডিটস’ তাঁকে দুহাত ভরে দিয়েছে

জাতির আলো, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

 

বন্দিশ ব্যান্ডিটস’ সিরিজের সফলতা প্রসঙ্গে এই গুণী অভিনেত্রীর ভাষ্য, ‘প্রথম সিজনের পর দ্বিতীয় সিজনেও মানুষ আমাদের একই রকম ভালোবাসা দিচ্ছেন। আমাকে অনেকে বড় বড় মেসেজ লিখে পাঠিয়েছেন। মেসেজগুলো পড়ে বোঝা যাচ্ছে, সবাই সিরিজটি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখেছেন। “বন্দিশ ব্যান্ডিটস” আমাকে অনুভব করিয়েছে যে আমি একজন অভিনেত্রী। আমি আপ্লুত।’একটু থামলেন। যোগ করলেন, ‘এই সিরিজ আমাকে দুহাত ভরে দিয়েছে। আর সবচেয়ে ভালো দিক যে “বন্দিশ ব্যান্ডিটস”-এর প্রভাব সাধারণ মানুষের ওপর পড়েছে। এই সিরিজের প্রথম সিজন মুক্তি পাওয়ার পর অনেকে তাঁদের সন্তানদের শাস্ত্রীয় সংগীত শেখানো শুরু করেছিলেন। একজন শিল্পী হিসেবে এটা অনেক আনন্দের বিষয়। আর এই সিরিজের অংশ হতে পেরে আমি সত্যি গর্ব অনুভব করি।’

নিজের মায়ের একটি কথাও প্রসঙ্গক্রমে শোনান শ্রেয়া, ‘মা আমায় বলেছেন, এই সিরিজ করার সময় যা কিছু আমি শিখেছি, তা যেন সারা জীবন আগলে রাখি। আর আনন্দ (তিওয়ারি) স্যার বলেছিলেন, পুরো জনসংখ্যার মধ্যে আমরা সেই ১ শতাংশ মানুষ, যাঁরা এই সিরিজের অংশ হওয়ার সুযোগ পেয়েছি।

শ্রেয়া চৌধুরী। ছবি: অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে
শ্রেয়া চৌধুরী। ছবি: অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে

এর চেয়ে বড় সফলতা আর কীই-বা হতে পারে। “বন্দিশ ব্যান্ডিটস” আমার সামনে অনেকগুলো দরজা খুলে দিয়েছে। এটাই আমার সফলতার কাহিনি বলতে পারেন।’

শ্রেয়া চৌধুরী। ছবি: অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে
শ্রেয়া চৌধুরী। ছবি: অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে

আর এই ভ্রমণের মধ্য দিয়ে আগামী দিনেও বাঁচতে চাই।’ এ প্রসঙ্গে অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘দেখুন, জীবন মানেই কঠিন। আর যেকোনো পথে চড়াই-উতরাই থাকবেই। নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে সবাইকে নানান কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়। আমিও এর ব্যতিক্রম নই। তবে পরিশ্রমই শেষ কথা। জীবনে সাফল্য পেতে হলে পরিশ্রম করতেই হবে।’

তারকা নয়, শুধু অভিনেত্রী হওয়ার আশায় রাজস্থান থেকে মুম্বাইয়ে এসেছিলেন শ্রেয়া। শুরুতে মা–বাবার সমর্থন ছিল না। তবে তাঁর ভাই সবচেয়ে বড় সমর্থক ছিলেন। শ্রেয়া বলেন, ‘ভাইয়াই আমাকে আমার স্বপ্ন পূরণ করার জন্য উৎসাহিত করেছিলেন। তবে আজ আমার সাফল্যে মা–বাবা খুব খুশি।’

শ্রেয়া চৌধুরী। ছবি: অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে
শ্রেয়া চৌধুরী। ছবি: অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে

ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলা করতে ভালোবাসেন শ্রেয়া। আর তাই বরাবরই তিনি প্রতিযোগিতায় বিশ্বাসী। প্রতিযোগিতার প্রসঙ্গে অভিনেত্রী জানান, ‘অভিনয়ের জগতে যাঁরা আছেন, তাঁরাই আমার প্রতিযোগী। তবে শেষ পর্যন্ত নিজের সঙ্গেই আমার প্রতিযোগিতা। নিজেকে আরও ভালো করার প্রতিযোগিতা আমি অন্তর থেকে অনুভব করি।’

স্বল্প সময়ের অভিনয়জীবনে মনীষা কৈরালা, নাসিরুদ্দিন শাহ, অতুল কুলকার্নি, দিব্যা দত্তর মতো শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করেন শ্রেয়া। তাঁর ভাষ্যে, ‘তাঁদের সামনে থেকে দেখা মানেই তো এক অনন্য অভিজ্ঞতা। প্রত্যেকের থেকেই কিছু না কিছু শিখেছি। এসব অভিনেতার সান্নিধ্যে এসে অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে সমৃদ্ধ করতে পেরেছি।’

সদ্য অ্যামাজন প্রাইমে মুক্তি পেয়েছে বোমান ইরানি পরিচালিত ও অভিনীত ছবি “দ্য মেহতা বয়েস”। এই ছবির মূল নায়িকা শ্রেয়া। আড্ডার শেষে একটা ঝকঝকে হাসি দিয়ে তিনি বলেন, ‘ছবিটা দেখে অবশ্যই জানাবেন কেমন লাগল।’

 

image_print
Spread the love
0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments