আরশাদ খানের চোখের জাদুতে মুগ্ধ হয়েছিল নেটদুনিয়া
এক সাধারণ চা বিক্রেতা আরশাদ খানের চোখের জাদুতে মুগ্ধ হয়েছিল নেটদুনিয়া। মুহূর্তে ভাইরাল হয়েছিলেন তিনি। এর পর কেটে গেছে সাতটি বছর। সাধারণ সেই চা বিক্রেতা সম্প্রতি লন্ডনে ক্যাফে খুলেছেন। উদ্দেশ্য শুধু চা খাওয়ানো নয়। দেশীয় সংস্কৃতিকে ইউরোপে ছড়িয়ে দিতে চাইছেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আরশাদ জানিয়েছেন, নিজের হাতে কেটলিতে চা বানিয়ে মাটির ভাঁড়ে পরিবেশন করবেন। আর এভাবেই দক্ষিণ এশিয়ার সংস্কৃতিকে গোটা বিশ্বের সামনে তুলে ধরবেন তিনি।
২০১৬ সালে জিয়া আলি নামের এক চিত্রগ্রাহক তার ছবি সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। সেই ছবি রাতারাতি ভাইরাল হয়ে যায়। এর পরই পাকিস্তানে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে যান নীল চোখের আরশাদ।
লন্ডন শহরের পূর্ব দিকের ইলফোর্ড লেনে সম্প্রতি ক্যাফে খুলেছেন তিনি। টেমসের তীরের এই অংশে ভারত, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের নাগরিকদের ঘন বসতি রয়েছে। তাদের নিজের হাতে চা খাওয়াতে চাইছেন আরশাদ। ক্যাফে উদ্বোধনের পর গণমাধ্যমে কথা বলেছেন আরশাদ। তার ভাষায়, ‘লন্ডন যাওয়ার হাজার হাজার অনুরোধ পেয়েছি। এতোদিন সেগুলি অগ্রাহ্য করছিলাম। এবার সেখানে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছি। নিজের হাতে লন্ডনের ভক্তদের চা খাওয়াব।’
লন্ডনে ক্যাফে খুলে আরশাদ ক্যাফের ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন। এতে একটি গোল টেবিলে সাজানো মাটির ভাঁড়ের চায়ের ছবি দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও রয়েছে কেটলি ও বিস্কুট। যার উপরে লেখা হয়েছে দোকানের নাম, ‘ক্যাফে চায়েওয়ালা’। পাশেই রয়েছে বিজ্ঞাপনের ক্যাচ লাইন, ‘মটকা টি, দেশি কড়ক চায়ে!’
এর আগে ২০২০-তে ইসলামাবাদে ক্যাফে খোলেন আরশাদ যার নাম ছিল, ‘ক্য়াফে চাওয়ালা রুফটপ’।
ইনস্টাগ্রামে নিজেকে একজন উদ্যোক্তা হিসেবে উল্লেখ করেছেন আরশাদ। সেখানে নিজের জীবনের গল্পের কথা লিখেছেন তিনি। সামান্য একজন চা-ওয়ালা হিসেবে কীভাবে খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছলেন? কেমন করেই বা ব্যবসাকে দেশের বাইরে নিলেন তিনি? লম্বা এই যাত্রার উত্থান-পতনের ঘটনাবলি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রায়ই সামনে আনেন তিনি।
২০১৬-র ভাইরাল ছবির পর একাধিক মডেলিং ও সিনেমায় কাজ করার সুযোগ পান আরশাদ। রূপালি দুনিয়াতে পা-ও রাখেন আরশাদ। তবে কখনই ভোলেননি নিজের অতীত। চাওয়ালা হিসেবে পাওয়া খ্যাতি বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর নীল চোখের এই পাকিস্তানি। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস