জাতীয়

সাবেক ১০ প্রভাবশালী সচিব জেলে হত্যা ও রাষ্ট্রদ্রোহ, অর্থআত্মসাৎ বিস্ফোরক উপাদানবলী আইনসহ একাধিক মামলা এত সচিব এর আগে এসব আইনে ‘অভিযুক্ত’ হননি

স্টাফ রিপোর্টার: ৫ আগস্ট পট পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে অনেক ক্ষমতাবানদের দাপটের পতন হয়েছে। যাদের এক ইশরায় হাজার কিছু হতো এমন ১০ ক্ষমতাধর সাবেক সচিব এখন কারাগারে। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, রাষ্ট্রদ্রোহ, অর্থ আত্মসাৎ, বিস্ফোরক উপাদানবলী আইনসহ রয়েছে একাধিক মামলা। অনেকে আটক হয়েছেন দেশ ছেড়ে পালাতে গিয়ে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, একসঙ্গে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের সাবেক এত কর্মকর্তা কারাগারে থাকা নজিরবিহীন। এর আগে সচিবদের কিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা হলেও কখনো গণমামলা হয়নি। এ ধরনের মামলা গণকর্মচারীদের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা তৈরী করবে।
কারগারে থাকা সাবেক শীর্ষ ১০ কর্মকর্তা হলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব ও নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক যুব ও ক্রীড়া সচিব মেজবা উদ্দিন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ও সংসদ সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদ, সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন, সাবেক সচিব ও নির্বাচন কমিশন সচিব হেলাল উদ্দিন আহম্মদ, সাবেক সমাজ কল্যান সচিব ইসমাঈল হোসেন, সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থঅপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শাহ কামাল।
এদের মধ্যে বিস্ফোরক উপাদানবলী আইন ১৯০৮ এ গ্রেপ্তার করা হয়েছে মেজবা উদ্দিন, আবুল কালাম আজাদ, আমিনুল ইসলাম খান, নজিবুর রহমান, মোস্তফা কামাল উদ্দিনকে। হত্যা মামলায় আটক হয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম, কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, হেলাল উদ্দিন আহম্মদকে। হেলাল উদ্দিন আহম্মদের বিরুদ্ধে রয়েছে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ। দুদকে আইনে আটক রয়েছে ইসমাঈল হোসন। অর্থপাচার ও দুর্নীতি মামলায় আটক আছেন শাহ কামাল।
সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের এমন আমলাদের বিরুদ্ধে হত্যা ও বিস্ফোরক উপাদনবলী আইনে আটক বিষয়টি প্রশাসনযন্ত্রে কেমন প্রভাব ফেলবে কি না জানতে চাইলে সাবেক সচিব আবু আলম শহীদ খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘কোনো সচিব এমন ঘটনায় জড়িত আমি তা বিশ্বাস করি না, করতে পারি না। এ ধরনের মামলা বাঞ্জনীয়ও না। কারো নামে সুনির্দিষ্ট দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে, অর্থ লোপাটের অভিযোগ থাকলে, সরকারি চাকরি নিয়ম-নীতি ভঙ্গ করার অভিযোাগ থাকলে, ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ থাকলে মামলা হতেই পারে। নির্মোহভাবে মামলা হলে কোনো কিছু বলার থাকে না। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতেই পারে। তবে এ ধরনের মামলা হলে তা মামলার মেরিট নষ্ট করে, সরকার তো ইতোমধ্যে বলেছে এসব মামলায় সচিবদের অন্তর্ভূক্ত করায় আসলে মামলাগুলো দুর্বল করা হয়েছে।’
এত সচিবদের বিরুদ্ধে আগে কখনও মামলা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এত গণমামলা হয়নি। দুর্নীতির অভিযোগে মামলা হয়েছে।’
এসব মামলায় প্রশাসন বা সিভিল সার্ভিসের জন্য কী বার্তা দিবে জানাতে চাইলে এই সচিব বলেন,‘এরই মধ্যে পুলিশ, আমলা ও তৃনমূল শাসন ব্যবস্থায় কিন্তু নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তারা কিন্তু নিজ দায়িত্বে নিজেদের উৎসাহে এখন কাজ করছে না ভয়ে। তারা আশঙ্কা করছে কোনো ত্রুটি বিচ্যুতি হলে তারাও মামলায় জড়াতে পারেন। আর এসব মামলা কিন্তু গণকর্মচারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে না। ফলে গণকর্মচারীদের যদি সুরক্ষা দেওয়া না যায় তবে এসব সেক্টরে কাজ ব্যহত হবে।’
মামলার এজাহার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২১ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বিমানবন্দরে পৌঁছালে সাবেক সচিব ইসমাইল হোসেকে আটক করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। পরে দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে তাকে দুদকের মামালায় আটক দেখানো হয়।
অর্থ পাচার থামবে না? অর্থ পাচার থামবে না?
সেই আবেদনে বলা হয়েছে, ইসমাঈল হোসেন দায়িত্ব পালনকালে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে ঘুষ, বদলি, পদোন্নতি, নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে অংশ নিয়েছেন। তাকে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো প্রয়োজন। এ বিষয়ে অনুমোদন আছে। কমিশনের মতে, ইসমাইল হোসেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের মানিলন্ডারিং সম্পৃক্ত অপরাধ ‘ঘুষ ও দুর্নীতি’সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার সহযোগী ছিলেন। ইসমাইল হোসেন বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (প্রশাসন) ১১তম ব্যাচের সদস্য। তিনি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমান সরকার তাকে সমাজকল্যান মন্ত্রণালয়ে বদলি করে।
গত ২৩ অক্টোবর নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাবেক সচিব হেলালুদ্দীন আহমদকে চট্টগ্রামের খুলশী তুলাতুলী এলাকা থেকে আটক করা হয়। হেলালুদ্দীন আহমদ ২০২২ সালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব পদ থেকে অবসরে যান। এর আগে তিনি নির্বাচন কমিশন সচিব ছিলেন। সর্বশেষ তিনি সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সদস্য ছিলেন।
বরিশালে বিএনপি নেতাদের বাসায় একযোগে হামলাবরিশালে বিএনপি নেতাদের বাসায় একযোগে হামলা গত ১৮ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম আদালতে একরামুল করিম নামের এক বীর মুক্তিযোদ্ধার করা মামলায় সাবেক ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, কে এম নূরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়াল, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিগত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী সংসদ সদস্যদের আসামি করে চট্টগ্রামে প্রতারণা ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা হয়েছে। মামলাটি আদালত পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের সংসদ নির্বাচনে বিরোধী দলসহ অনেক নেতার অংশগ্রহণ ছিল না। সাধারণ মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। যারা কমিশনে ছিলেন, তাদের ব্যর্থতার কারণে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও নির্বাচনী মাঠে একপেশে আচরণ করেছে। বিপুল টাকা ব্যয়ে যে তিনটি নির্বাচন হয়েছে, তাতে সংবিধানের খেলাপ করেছেন নির্বাচন কমিশনারসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। তাই রাষ্ট্রদ্রোহ ও প্রতারণার মামলা করা হয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে পল্টন থানায় হত্যা মামালাও রয়েছে।
গত বছর ২৪শে অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ২০২৩ সালে ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশের দিন সংঘর্ষে যুবদল নেতা শামীম মোল্লা নিহত হন। তাকে হত্যার অভিযোগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ৭০৪ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন ছাত্রদলের সাবেক এক নেতা। এ মামলায় মোস্তফা কামাল উদ্দীনকে আসামি করা হয়।
এইচএমপিভি ভাইরাস নিয়ে এখনই সতর্কতা প্রয়োজনএইচএমপিভি ভাইরাস নিয়ে এখনই সতর্কতা প্রয়োজন ডিএমপির গণমাধ্যম শাখার তথ্যমতে, মোস্তফা কামাল উদ্দীন ২০১৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করেন। পল্টন থানায় দায়ের করা বিএনপির কর্মী মকবুল হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান।
পুলিশ ও আদালত সুত্রগুলো বলছে, বিএনপির কর্মী মকবুল হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব নজিবুর রহমানকে ১৮ ডিসেম্বর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। ২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ও মকবুল নামের এক দলীয় কর্মীকে হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ২৫৬ জনের বিরুদ্ধে এই মামলা হয়। মাহফুজার রহমান নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে গত ৩০ সেপ্টেম্বর পল্টন থানায় মামলাটি করেন। এর আগে গত ৭ অক্টোবর অপর একটি হত্যা মামলায় নজিবুর রহমানের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
বাহাত্তরের সংবিধানে জনবিরুদ্ধতার বীজবাহাত্তরের সংবিধানে জনবিরুদ্ধতার বীজ
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খানকে বনানী থেকে আটক করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
পল্টন থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখ্য সচিব ও উপদেষ্টা কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত জানুয়ারি মাসে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীকে উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। এর আগে তিনি প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ছিলেন। এ ছাড়া তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটি বাস্তবায়নের প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
গত ২ অক্টোবর যুবদল নেতা শামীম হত্যার ঘটনায় পল্টন থানায় করা মামলায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মেজবাহ উদ্দিনকে আটক করে পুলিশ। ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে মহাসমাবেশ ডাকে বিএনপি। একই দিন আওয়ামী লীগ পাল্টা সমাবেশ ডাকে। বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা ও গুম করার উদ্দেশ্যে সেদিন পুলিশের সহায়তায় মহাসমাবেশে হামলা চালানো হয় বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়। এ ঘটনায় যুবদল নেতা শামীম নিহত হন। গত ২৪ সেপ্টেম্বর পল্টন থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
যথেষ্ট আধুনিক বাহাত্তরের সংবিধানযথেষ্ট আধুনিক বাহাত্তরের সংবিধান
গত ১ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমকে গুলশান থেকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। অভিযোগে মো. জাহাঙ্গীর আলমকে ‘ডামি নির্বাচনের কারিগর’ বলে উল্লেখ করেছে পুলিশ। ২০২২ সালের ২ নভেম্বর থেকে নির্বাচন কমিশনের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন জাহাঙ্গীর। তিনি এই পদে ছিলেন ২০২৪ সালের ৩০ মে পর্যন্ত। এই সময়কালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, যা ‘ডামি নির্বাচন’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। পরে নির্বাচন কমিশন সচিব থেকে বদলি করে জাহাংগীরকে দায়িত্ব দেওয়া হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব হিসেবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালেও তিনি স্বরাষ্ট্রসচিব ছিলেন। এই আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ১৪ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের এই সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় সরকার।
গত ১৭ আগস্ট রাজধানীর মহাখালী থেকে শাহ কামালকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মো. শাহ কামাল ও তার স্ত্রীর ১৯টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। দুদক লিখিতভাবে আদালতকে জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মো. শাহ কামালের ১২টি ব্যাংক হিসাবে জমা হয় ৫ কোটি ৭৫ লাখ ৬৫ হাজার ৭২১ টাকা। অন্যদিকে তার স্ত্রীর সাতটি ব্যাংক হিসাবে জমা হয় ৩ কোটি ৭৬ লাখ ৩৪ হাজার ৪১৪ টাকা।
আলোচিত ৫ (৮ জানুয়ারি)আলোচিত ৫ (৮ জানুয়ারি)
দুদকের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, শাহ কামালের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, ত্রাণের অর্থ আত্মসাৎ, বদলি ও জনবল সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ অনুসন্ধানে সংস্থাটি টিম গঠন করেছে। ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের বার্তায় বলা হয়, ১৬ আগস্ট শাহ কামালের মোহাম্মদপুরের বাবর রোডের বাসায় অভিযানে ৩ কোটি ১ লাখ টাকা ও ১০ লাখ টাকা মূল্যমানের বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার হয়। শাহ কামাল ২০১৫ সালের মার্চ থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ছিলেন। তিনি ২০২০ সালের ২৯ জুন অবসরে যান।

image_print
Spread the love
0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments