জাতীয়

রাজধানীর উত্তরখানের পুরানপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজের ভারপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ সাইফুর রহমান ভূঁইয়াকে (৫০)

রাজধানীর উত্তরখানের পুরানপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে শান্তিনগরের হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজের ভারপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ সাইফুর রহমান ভূঁইয়াকে (৫০)।

এ ঘটনায় নিহতের ভাই মুজাহিদুর রহমান ভূঁইয়া বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই তারা তদন্ত শুরু করে। নিহতের বাসার ফ্ল্যাটে বসবাসকারী একজন তরুণ ও একজন তরুণীকে ঘিরে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন নাজির ও রূপা, তারা স্বামী-স্ত্রী।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) ফরিদপুর থেকে তাদের গ্রেফতার করে উত্তরখান থানা পুলিশ।

এ বিষয়ে ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. মুহিদুল ইসলাম বলেন, “ফরিদপুর থেকে এই দম্পতিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সাত মাস আগে তারা বিয়ে করেন। ফোনে পরিচয়ের মাধ্যমে তাদের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনের খুব কাছাকাছি চলে এসেছি।”

তিনি আরও জানান, “তাদের সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করা হবে।”

উত্তরখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউর রহমান জানান, “উত্তরখানের পুরানপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় খুন হন হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজের ভারপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ সাইফুর রহমান ভূঁইয়া। কয়েকদিন আগে নাজির ও রূপা নামে এক দম্পতি ওই ফ্ল্যাটে ওঠেন। এরপর সোমবার ভোরে তারা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে পালিয়ে যান বলে অভিযোগ রয়েছে।”

পুলিশ জানায়, হত্যার পর তারা ঢাকা থেকে পালিয়ে ফরিদপুরে আত্মগোপন করেন। পরে পুলিশের অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

এ ঘটনায় নিহতের ভাই মুজাহিদুর রহমান ভূঁইয়া বাদী হয়ে উত্তরখান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় এখন পর্যন্ত কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে আসামি করা হয়নি, তবে তদন্তে গ্রেফতারকৃতদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

ডিএমপির উত্তরা বিভাগের ডিসি মো. মুহিদুল ইসলাম বলেন, “হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। হত্যার মোটিভ ও ঘটনার পেছনের রহস্য জানতে গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।”

নিহত সাইফুর রহমান ভূঁইয়া উত্তরখানের শাহীন শাহনেওয়াজের বাড়ির চতুর্থ তলার একটি ভাড়া ফ্ল্যাটে একাই বসবাস করতেন।

এ বিষয়ে দক্ষিণখান জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. নাসিম এ-গুলশান বলেন, “সম্প্রতি এক তরুণ-তরুণী ওই ফ্ল্যাটে ওঠেন। ধারণা করা হচ্ছে, সোমবার ভোরে তারাই হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়ে পালিয়েছেন। তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, আরও জিজ্ঞাসাবাদ করে বিস্তারিত জানা যাবে।”

গতকাল শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে নিহতের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। পরে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

image_print
Spread the love
0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments