জাতীয়

ময়মনসিংহে এক স্ত্রীকে হত্যার পর জামিন পেয়ে আরেক স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

ময়মনসিংহে এক স্ত্রীকে হত্যার পর জামিন পেয়ে আরেক স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
রায় ঘোষণার পর মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামি ফখরুল ইসলামকে কারাগারে নেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার ময়মনসিংহ আদালতে
রায় ঘোষণার পর মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামি ফখরুল ইসলামকে কারাগারে নেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার ময়মনসিংহ আদালতেছবি: সংগৃহীত
ময়মনসিংহে এক স্ত্রীকে হত্যার পর জামিনে বের হয়ে আরেক স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ময়মনসিংহ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মমতাজ পারভীন এ আদেশ দেন।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ওই ব্যক্তির নাম ফখরুল ইসলাম। তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার বয়রা পশ্চিমপাড়া গ্রামে।
রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি আনোয়ারুল হক রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামি অন্য একটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হয়ে জামিনে ‍মুক্তি পেয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটান। এ জন্য আদালতের বিচারক তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী থেকে জানা গেছে, আসামি ফখরুল ইসলাম ২০১২ সালের ২৬ মার্চ বিকেলে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে থাকা প্রথম স্ত্রী শিরিনাজ বেগমকে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। এর আগে দ্বিতীয় স্ত্রী কানিজ ওরফে তানিয়াকে হত্যার দায়ে ২০০৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ফখরুলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। পরে ওই মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়ে তিনি প্রথম স্ত্রী শিরিনাজকে হত্যা করেন। প্রথম স্ত্রী শিরিনাজ হত্যা মামলা চলাকালে ফখরুল নিজেকে অপ্রকৃতিস্থ দাবি করলে আদালতের নির্দেশে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত বোর্ড বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে। পরীক্ষা শেষে তাঁকে সুস্থ ঘোষণা করা হয়। এর আগে দ্বিতীয় স্ত্রীকে হত্যা মামলা চলাকালেও তিনি নিজেকে অপ্রকৃতিস্থ দাবি করেছিলেন। পরে আদালত জানতে পারেন তিনি সুস্থ ছিলেন।
আদালত সূত্র জানায়, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত থাকা অবস্থায় জামিনে মুক্ত হয়ে আবার হত্যাকাণ্ড ঘটানোর কারণে দণ্ডবিধির ৩০৩ ধারায় নির্ধারিত বিধান অনুসারে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত।

image_print
Spread the love
0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments