পেলের সন্তান দাবি, ডিএনএ পরীক্ষায় ধরা
ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলের সন্তান হিসেবে দাবি করেছিলেন দেশটির এক নারী। তবে ডিএনএ পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসায় তার দাবি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। এ বিষয়ে বার্তা সংস্থা এএফপিকে নিশ্চিত করেন পেলের ছেলে এদিনিও।
এদিনিও বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে (ডিএনএ) পরীক্ষা করিয়েছি। এটা নিশ্চিত হয়েছি, সে আমাদের বোন নয়। সে ও আমি মিলে পরীক্ষাগারে এই পরীক্ষা করিয়েছি এবং কোনো সম্পর্ক যে নেই, সেটা নিশ্চিত হয়েছি।’
একমাত্র ফুটবলার হিসেবে তিনবার বিশ্বকাপ জেতা পেলে গত বছরের ২৯শে ডিসেম্বর মারা যান। মৃত্যুর আগে মোট ৭ সন্তান রেখে গেছেন তিনি। বাবার মতো তার ছেলে এদিনিও’ও ফুটবলার ছিলেন। সান্তোসের হয়ে খেলেছেন লম্বা সময়।
পেলের কন্যা দাবি করা ওই নারী সর্বপ্রথম আলোচনায় আসেন গত বছরের মার্চে। পেলের রেখে যাওয়া সম্পত্তির উত্তরাধিকারী কারা, সে বিষয় আংশিকভাবে প্রকাশিত হয়। ব্রাজিলের সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, মৃত্যুর আগে পেলে আনুমানিক ১৭৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকার সম্পত্তি রেখে গেছেন।
তবে পেলের পরিবারের তরফ থেকে এই অঙ্ক নিশ্চিত করা হয়নি।
এরপর পেলের স্ত্রীর আইনজীবী লুইজ কিগনেল এএফপিকে জানান, আরেকটি কন্যা সন্তান হয়তো আছে যে সন্তানদের জন্য পেলের রেখে যাওয়া ৭০ শতাংশ সম্পত্তির অংশ পাবেন।
এ বিষয়ে সত্যতা প্রমাণের জন্য ডিএনএ প্রমাণের দরকার ছিল। কিন্তু পেলে বেঁচে থাকতে করোনা মহামারি এবং তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় এই পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি।
বর্তমানে পেলের সম্পত্তি দেখাশোনার দায়িত্বে আছেন তার ৫৩ বছর বয়সী ছেলে এদিনিও। তিনি নিশ্চিত করেছেন, ডিএনএ পরীক্ষা দুই মাস আগে সম্পন্ন হয়েছে।
পেলের ক্লাব সান্তোষের হয়ে খেলা সাবেক এই গোলকিপার ও কোচ জানান, ‘এটা স্বাভাবিক গতিতেই এগোচ্ছে। ভাইদের মধ্যে মিল আছে। মার্সিয়ার (পেলের তৃতীয় স্ত্রী, যিনি ৩০ শতাংশ সম্পত্তি পাবেন) দিক থেকেও কোনো অসুবিধা নেই। আমার বাবা যেভাবে ইচ্ছা প্রকাশ করে গেছেন, তার প্রতি সম্মান দেখানো হবে।’