ক্যানসার নির্ণয়ে এফএনএসি পরীক্ষার গুরুত্ব
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, জাতির আলো
এফএনএসি পরীক্ষার গুরুত্ব : ক্যানসার শনাক্তের পরপর একজন রোগীর জন্য এফএনএসি পরীক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে পরীক্ষাটি বিশেষায়িত হাসপাতাল বা নির্ভরযোগ্য প্যাথলজিক্যাল ল্যাবে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মাধ্যমে করানো উচিত। যে কোনো গোটা বা টিউমার শনাক্ত হলে এর মধ্যে সুচ ঢুকিয়ে এফএনএসি বা ফাইন নিডল অ্যাসপিরেশন সাইটোলজি পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। এ পরীক্ষার জন্য কোনো বিশেষ প্রস্তুতির প্রয়োজন নেই। তবে গোটার অবস্থান ও নমুনার ধরনের ওপর নির্ভর করে চিকিৎসক কিছু বিশেষ নির্দেশনা দিতে পারেন এবং এর ফলাফলের ওপর রোগীর চিকিৎসা চলে।
প্রস্তুতি : আগে থেকে সেবন করা ওষুধ সম্পর্কে চিকিৎসককে জানান। রক্ত পাতলা করার মতো কিছু ওষুধ পরীক্ষার আগে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে হতে পারে। পরীক্ষার দিন আরামদায়ক ঢিলেঢালা পোশাক পরুন। যদি কোনো রক্তপাতের ব্যাধি থাকে, তবে চিকিৎসককে বলুন। প্রয়োজনীয় ও আনুষঙ্গিক পরীক্ষার রিপোর্ট সঙ্গে নিন। চিকিৎসক আপনাকে ে য কোনো নির্দিষ্ট নির্দেশনা অনুসরণ করতে বলতে পারেন। শরীরের কোন জায়গায় গোটা আছে, তার ওপর নির্ভর করে শুয়ে থাকতে বা আরামে বসতে বলা হবে। সুচ ঢোকানোর সময় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কোনো চেতনানাশকের দরকার হয় না।
নমুনা সংগ্রহ : সুই ব্যবহার করে গোটা থেকে কিছু কোষ বা তরল নেওয়া হয়। এ পরীক্ষা বহির্বিভাগেই করা যায়, ভর্তির দরকার হয় না। জায়গাটিতে হালকা ব্যথা অনুভব করতে পারেন, যা এক-দুদিনের মধ্যে কমে যাবে।
ফলাফল : যক্ষ্মা, দীর্ঘমেয়াদি সংক্রমণ, ক্যানসার বা ক্যানসার-পূর্ব অবস্থা ইত্যাদি নির্ণয়ে এ পরীক্ষা নির্ভরযোগ্য। কিন্তু পজিটিভ মানেই ক্যানসার, তা না-ও হতে পারে। চিকিৎসক ইতিহাস, অভিযোগ, লক্ষণ ও উপসর্গ এবং ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার ওপর ভিত্তি করে ক্যানসার নির্ণয়ে আরও পরীক্ষা করাতে পারেন। বায়োপসিও করা দরকার হতে পারে।
বায়োপসি ও এফএনএসি এক কিনা : বায়োপসি করতে অস্ত্রোপচার দরকার হয় এবং শরীরের টিস্যুর একটি অংশ অপসারণ করে পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করা হয়। অন্যদিকে এফএনএসি করতে পুরোটা না কেটে একটি সিরিঞ্জ ব্যবহার করে কোষের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। যেহেতু এফএনএসি সীমিতসংখ্যক কোষ সংগ্রহ করে, তাই এটি সম্পূর্ণ রিপোর্ট না-ও দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে এফএনএসি করার পরও চিকিৎসক বায়োপসির সুপারিশ করতে পারেন।
এফএনএসি পরীক্ষা যতটা সঠিক : এ পরীক্ষার নির্ভুলতা বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। যেমন- পিণ্ডের অবস্থান ও ধরন, সঙ্গে চিকিৎসকের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা।