নগর জীবন

কোন প্রাণীর দুধের রং গোলাপি হয়

স্টাফ রিপোর্টার ডেস্ক: প্রাণী থেকে দুধ উত্পাদন হয়। যা পান করার উপযোগী হয়। গরু, ছাগলসহ অনেক প্রাণীই দুধ সরবরাহ করে। যা নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় ফুটিয়ে পানের উপযোগী করে তোলা হয়। বড়-ছোট যেকোনো বয়সী মানুষও প্রাণীর দুগ্ধ পান করে। সাধারণত সব প্রাণীর দুধের রং সাদা হয়। কিংবা ঘনত্বের কারণে হালকা ক্রিম রঙেরও দেখা যায়। কিন্তু এমনও প্রাণী রয়েছে যার দুধের রং হয় গোলাপি।
অবাক হচ্ছেন? পৃথিবীর বুকেই এমন প্রাণী রয়েছে যার দুধের রং অন্য প্রাণীর থেকে একেবারেই ভিন্ন। এমনকি সেই প্রাণীর দুধের রং হয় গোলাপী রঙের। জানেন কি, সেটি কোন প্রাণী? সেই প্রাণীর নাম হলো জলহস্তী।
হ্যা, গোলাপি দুধ উৎপাদন করা একমাত্র প্রাণী হলো জলহস্তী। এই প্রাণীর দুধের রং কেন গোলাপী হয়, তা নিয়েও গবেষণা করা হয়। গবেষকরা জানান, জলহস্তীর শরীরে হিপ্পোসুডোরিক অ্যাসিড এবং নরহিপ্পোসুডোরিক অ্যাসিডের উপস্থিতি থাকে। যার কারণে এই প্রাণী গোলাপি রঙের দুধ উত্পাদন করে। এসব অ্যাসিড জলহস্তীর ত্বক থেকেই নিঃসৃত হয়। এগুলো তাদের ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করে এবং ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধে সহায়ক। যা দুধের সঙ্গে মিশে হালকা গোলাপি আভা তৈরি করে। যা দুধকে গোলাপী রঙে রূপ দেয়।
শুধু তাই নয়, জলহস্তী একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত শূন্যে ভেসেও থাকতে পারে। স্তন্যপায়ী প্রাণীদের ওপর চালানো এক গবেষণায় এমন চমকপ্রদ তথ্যও উঠে আসে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক রয়্যাল ভেটেরিনারি কলেজ (আরভিসি) এ গবেষণা চালায়। গবেষণায় দেখা যায়, খুব দ্রুত চলার সময় একটি জলহস্তী দশমিক ৩ সেকেন্ড বাতাসে ভেসে থাকতে পারে।
এছাড়াও জলহস্তী সম্পর্কে প্রচলিত একটি মজার ধারণাও রয়েছে। বলা হয়, এই প্রাণী কষ্ট পেলে এদের শরীর থেকে ঘামের পরিবর্তে রক্ত ঝরে। কিন্তু প্রচলিত এই ধারণাটি ভুল বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। তারা জানান, জলহস্তীর শরীরে থাকা মিউকাস জাতীয় এক ধরনের তেলতেলে পদার্থ নির্গত হয়। একে রেড অয়েল বলে। এটা ঘামের সঙ্গে মিশে বাতাসের সংস্পর্শে এসে লাল রং ধারণ করে।
জলহস্তী বেশির ভাগ সময় পানিতেই বাস করে। ডব্লিউডব্লিউএফের মতে, বিশ্বে হাতির পর সবচেয়ে ভারী প্রাণী হচ্ছে জলহস্তী। এই প্রাণীর ওজন হয় গড়ে আট হাজার পাউন্ড।

image_print
Spread the love
0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments