ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের প্রতিবেদন এআইভিত্তিক কাজের চাহিদা বাড়ছে, বৈশ্বিক শ্রমবাজার নতুন রূপ নেবে
প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ ও পরিবর্তনের জেরে সামনের দিনগুলোয় কর্মক্ষেত্রে কেমন পরিবর্তন ঘটবে, তা নিয়ে মানুষের মধ্যে একধরনের আগ্রহ-উত্তেজনা এবং উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা আছে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের ফলে আগামী এক দশকে যেমন অনেক চাকরি চলে যাবে, তেমনি নতুন অনেক কাজও সৃষ্টি হবে।
‘দ্য ফিউচার অব জবস’ শীর্ষক ঐ প্রতিবেদনে ডব্লিউইএফ বলেছে, প্রযুক্তিগত পরিবর্তন ও পরিবেশবান্ধব রূপান্তরসহ অর্থনৈতিক ও জনসংখ্যাগত বদলের কারণে বৈশ্বিক শ্রমবাজার নতুন রূপ নেবে। এসব বড় প্রবণতার কারণে আগামী এক দশকে বিশ্বে ১৭০ মিলিয়ন বা ১৭ কোটি নতুন কর্মসংস্থান হবে। পরিমাণগত দিক থেকে তা বিশ্বের এখনকার মোট ১৪ শতাংশ কাজের সমান।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, কিছু কিছু কাজের প্রবৃদ্ধি হচ্ছে দ্রুত। বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইভিত্তিক কাজের চাহিদা বাড়ছে। এসব কাজের মধ্যে আছে বিগ ডেটা বিশেষজ্ঞ, আর্থিক প্রযুক্তিবিষয়ক প্রকৌশলী আর এআই ও মেশিন লার্নিং বিশেষজ্ঞ। কিন্তু অবাক করা বিষয় হচ্ছে, আগামী এক দশকে সবচেয়ে বেশি চাহিদা তৈরি হবে কৃষিশ্রমিক ও মজুরের। চাহিদা বৃদ্ধির দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে থাকবে হালকা ট্রাক ডেলিভারি সেবার গাড়ি চালনা। সফটওয়্যার ও অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট তৃতীয়, ভবন নির্মাণকারী ও সহায়ক অন্যান্য কাজ চতুর্থ ও দোকানের বিক্রয়কর্মীর কাজ পঞ্চম স্থানে থাকবে।
আগামী ১০ বছরে যেসব কাজের গুরুত্ব কমে যাবে, তার মধ্যে শীর্ষ ১০টি হলো ক্যাশিয়ার ও টিকিট বিক্রয়কারী; প্রশাসনিক সহকারী ও নির্বাহী সচিব; ভবনের তত্ত্বাবধায়ক, পরিচ্ছন্নতাকর্মী; উপকরণ রেকর্ডিং ও স্টক সংরক্ষক কেরানি; ছাপাখানা ও সহায়ক কর্মী; হিসাবরক্ষণ ও বুক কিপিং, হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষক; পরিবহনের সহায়তাকারী; নিরাপত্তা প্রহরী এবং ব্যাংকের এটিএম সেবার কর্মী।