ভার্জিনিয়া পেলেন স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির মাস্টার্সের ডিগ্রি ১০৫ বছর বয়সে
যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া হিসলপ ১০৫ বছর বয়সে মাস্টার্স (স্নাতকোত্তর) ডিগ্রি পেলেন। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি তাঁকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি দিল। গত রোববার ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ সমাবর্তন আয়োজন করে ভার্জিনিয়াকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি দেয়। ক্যাম্পাসে হুইলচেয়ারে আসা কালো গাউন পরা শতবর্ষী এই নারীকে ডিগ্রি নেওয়ার সময় প্রাণোচ্ছল দেখা গেছে। স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাইটে ভার্জিনিয়া হিসলপকে ডিগ্রি দেওয়ার খবরটি প্রকাশ করা হয়েছে।
লস অ্যাঞ্জেলেসে বড় হওয়া ভার্জিনিয়া হিসলপ স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন ১৯৩৬ সালে। ইচ্ছা ছিল আইন বিষয়ে পড়াশোনা করার। তবে বাবা আইনে পড়াতে রাজি হননি। এমনকি এ জন্য কোনো টাকাও দেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন। বাবার পছন্দ অনুযায়ী শিক্ষা বিষয়ে ভর্তি হন। স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক শেষ করলেও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও সৈনিক স্বামীর যুদ্ধে ডাক পড়ায় সে সময় অর্জন করতে পারেননি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি। বাদ ছিল চূড়ান্ত থিসিস (গবেষণামূলক প্রবন্ধ) জমা দেওয়াসহ আনুষঙ্গিক কাজ। দীর্ঘ ৮৩ বছর পর সেই বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি দিল।
টাইমস হায়ার এডুকেশনের ‘ইমপ্যাক্ট র্যাঙ্কিং’, বাংলাদেশের ১৯ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সেরা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মূলত মেয়ের স্বামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ভার্জিনিয়াকে ডিগ্রি দেওয়ার বিষয়ে যোগাযোগ করেন। এরপর তাঁকে জানানো হয়, ভার্জিনিয়ার যে চূড়ান্ত থিসিস জমা দেওয়া বাকি ছিল, তা এখন আর জামা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। তাঁকে ডিগ্রি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ওয়াশিংটনের ইয়াকিমাতে বেড়ে ওঠা ভার্জিনিয়া হিসলপ বলেন, ‘আমি সব সময় পড়াশোনা উপভোগ করতাম।’ বহুল প্রতীক্ষিত ডিগ্রি অর্জনের ওই অনুষ্ঠানে ভার্জিনিয়া বলেন, ‘আমি অনেক দিন ধরেই এটি পাওয়ার চেষ্টা করেছি। এখন স্বীকৃতি পাওয়ায় ভালো লাগছে।’
স্ট্যানফোর্ডের জিএসই বিভাগের ডিন ড্যানিয়েল শোয়ার্টজ অনুষ্ঠানের শুরুতে বক্তৃতায় বলেন, ‘আজ আমরা আমাদের ১০৫ বছর বয়সী স্নাতককে শিক্ষায় মাস্টার অব আর্টস প্রদান করতে পেরে গর্বিত।’
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সমাবর্তনে ভার্জিনিয়া হিসলপের হাতে ডিগ্রির সনদ তুলে দেওয়া হয়।
১৯৪১ সালে যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যোগ দিলে যুদ্ধে যাওয়ার জন্য ডাক পড়ে ভার্জিনিয়ার স্বামীর। এ কারণে স্বামীর সঙ্গে ওকলাহোমায় চলে যান তিনি। সে কারণেই চূড়ান্ত থিসিস জমা দিতে পারেননি।
ভার্জিনিয়া শিক্ষার প্রসারে কাজ করেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। যুদ্ধের পর স্বামী জর্জের সঙ্গে ওয়াশিংটনে পারিবারিক পশুপালন ব্যবসায় যোগ দেন। তাঁদের দুই সন্তানকে বিয়েও দিয়েছেন।