Monday, March 20জাতির কথা বলে
Shadow

বলিউড অভিনেতা নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকী ও তার স্ত্রী আলিয়া সিদ্দিকীর দাম্পত্য কলহ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে

‘৭ দিন খেতে দেয়নি, বাথরুমেও না’, বিস্ফোরক অভিযোগ নওয়াজউদ্দিনের স্ত্রীর নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকী ও তার স্ত্রী আলিয়া সিদ্দিকী
বলিউড অভিনেতা নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকী ও তার স্ত্রী আলিয়া সিদ্দিকীর দাম্পত্য কলহ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এবার আলিয়ার আইনজীবী নওয়াজ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে আলিয়াকে না খাইয়ে রাখা এবং গ্রেপ্তারের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আলিয়ার আইনজীবী রিজওয়ান সিদ্দিকীর অভিযোগ, তার মক্কেল আলিয়াকে সাত দিন ধরে না খাইয়ে রেখেছেন নওয়াজ। এ ছাড়া নওয়াজ ও তার পরিবার আলিয়াকে গ্রেপ্তারের হুমকিও দিয়েছেন। তারা আলিয়ার ওপর নানা অত্যাচার করছেন।
আইনজীবী আরও জানিয়েছেন, আলিয়াকে শোয়ার জন্য বিছানা পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। শুধু তাই নয়, আলিয়াকে শৌচাগার ব্যবহারের অনুমতি পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি আলিয়ার ঘরে সিসিটিভি স্থাপন করা হয়েছে। নওয়াজ তার স্ত্রীর ঘরের বাইরে ২৪ ঘণ্টা কয়েকজন পুরুষ দেহরক্ষী মোতায়েন করেছেন।
পুলিশের কাছ থেকেও কোনো সাহায্য পাওয়া যায়নি জানিয়ে আলিয়ার আইনজীবী বলেন, ‘যদিও আমি সরাসরি পুলিশ বিভাগের কর্তব্য ও ব্যর্থতার জন্য তাদের দায়ী করতে চাই না, তবুও সত্যটি হলো কোনো পুলিশ অফিসার আমার মক্কেলের অধিকার রক্ষা করতে আসেননি।’
নওয়াজ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে আলিয়ার আইনজীবী অভিযোগ করে আরও বলেন, ‘তারা আমার মক্কেলের সঙ্গে কিছুতেই দেখা করতে দিচ্ছেন না। তবে আমি ও আমার টিম কৌশলে অভিযোগপত্রে আলিয়ার সাক্ষর নিতে পেরেছি।’
তবে আলিয়ার আইনজীবীর এ অভিযোগের ব্যাপারে এখন পর্যন্ত নওয়াজ ও তার পরিবারের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
গত কয়েক বছর ধরেই নওয়াজ-আলিয়া দম্পতি সম্পর্কের অবনতি নিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আসেছেন। ইতিমধ্যে আলিয়া ও নওয়াজের দাম্পত্য কলহ আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। গত সপ্তাহেই নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকীর মা আলিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন।
আলিয়া বর্তমানে তার সন্তান ইয়ানি এবং শোরাকে নিয়ে আন্ধেরিতে নওয়াজের বাড়িতেই অবস্থান করছেন। কিছুদিন আগেই নওয়াজের মা মেহরুন্নিসা সিদ্দিকী আলিয়ার বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিলেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *